নিজস্ব সংবাদদাতাঃ লাইট, ক্যামেরা,অ্যাকশন। শব্দ গুলো শুনলেই একটাই কথা মাথায় আসে। সেটা হল টালিগঞ্জ স্টুডিও পাড়া। সবসময়ের জন্য ব্যস্ত থাকে এই পাড়া। নতুন নতুন আর্টিস্ট, নতুন ভাবনা, নতুন স্বপ্ন সবকিছুই থাকে টলিপাড়াকে ঘিরে।
টেকনিশিয়ান স্টুডিওর কথা শোনেনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। এই টেকনিশিয়ান স্টুডিওর সামনে একটি গাছ তলায় রয়েছে রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ মূর্তি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোনওদিন কোন সিনেমার নায়ক হননি। তার সৃষ্টি দিয়ে ছবি বানানো হয়েছিল এ কথা ঠিক। সেই কারণে রবীন্দ্রনাথকে সম্মান জানাতেই কি তাঁর আবক্ষ মূর্তি বসানো হয়েছে? প্রশ্ন থেকেই যায়।

এই আবক্ষ মূর্তির সামনে একটি গাছতলা। ওটা শহরে এরকম অনেক গাছতলা থাকলেও, টেকনিশিয়ান স্টুডিওর সামনের এই গাছতলার ইতিহাস আলাদা। বাংলা ছবির শুরুতে শুরুতে ভিড়ের কোন দৃশ্য দেখাতে গেলে প্রয়োজন হতো এক্সট্রাদের। তা সে মিছিলের দৃশ্য হোক বা পার্টির দৃশ্য হোক। এই এক্সট্রাদের দিয়েই কাজ করানো হত। এই এক্সট্রা এসেই গাছ তলায় দাঁড়াতেন। সেখান থেকে ডাক পরত তাঁদের।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এক্সট্রাদের নাম বদলে দিয়েছে। এখন তাঁরা জুনিয়র আর্টিস্ট। সেই সময় জুনিয়র আর্টিস্ট তথা এক্সট্রাদেরও বেছে বেছে নেওয়া হচ্ছিল। বেলঘড়িয়া কল্যাণী সোদপুর বারাসাত থেকে আসতেন এই এক্সট্রারা। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর তাদের প্রাপ্য ছিল ঠান্ডা বিরিয়ানির প্যাকেট।

এককথায় টেকনিশিয়ান স্টুডিওর সামনের গাছতলা বিখ্যাত হয়ে উঠেছে এক্সট্রা দের সমাবেশস্থল হিসেবে। সেই সময় সহ পরিচালকরা এক্সট্রাদের মধ্যে থেকে বাছাই করে করে অভিনেতা তুলতেন। এই এক্সট্রাদের তালিকা থেকে বহু বরেণ্য নায়ক-নায়িকা উঠে এসেছেন।