চয়নিকা চন্দ্র, কলকাতা : ‘রানওয়ে থার্টিফোর’-এর পর চতুর্থ ছবি নিয়ে ফিরে এলেন পরিচালকের আসনে অজয় দেবগন। দর্শকের জন্য তাঁর এবারের মনোরঞ্জন ‘ভোলা’। ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তামিল ছবি ‘কাইথি’র হিন্দি পুনর্নিমাণ এটি। টেক লাগানো অ্যাকশনের সাথে রয়েছেন অজয় দেবগন এই সিনেমায়। তবে খুশির খবর প্রথম দিনেই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রামনবমী উপলক্ষে মুক্তি প্রাপ্ত ছবি ‘ভোলা ‘ বক্স অফিসে ১১ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে!
ইদানীং দেশ জুড়ে দক্ষিণী ছবির রমরমার পর, বলিউডও মনে হচ্ছে অ্যাকশন ছবির ক্ষেত্রে কিছু অর্থবান ছুঁড়তে চাইছে । তাহলে দক্ষিণ ছাড়া কি গতি নেই? তার উপর সেই ছবি যদি দক্ষিণী ছবির রিমেক হয়, তা হলে তো উপরি পাওনা।
তব্বু তাঁর চূড়ান্ত অভিনয়ের পরিচয় দিয়েছেন। কাঁধে গুলি লাগার পরেও যে ভাবে লড়ে গেলেন তা মানতে কষ্ট হয়। গজরাজ রাও, বিনীত কুমার, মকরন্দ দেশপাণ্ডে এমনকি, কিরণ কুমারকেও সে ভাবে জায়গা দেওয়া হয়নি। ছবিতে অজয় দেবগন স্টান্টে মনোযোগ দিতে গিয়ে অন্য ক্ষেত্রে তাল কেটেছেন। তবে ছবির টেনশনকে ধরে রাখতে সাহায্য করেছে ‘কেজিএফ’ খ্যাত রবি বসরুরের আবহসঙ্গীত। ছবির শেষে রয়েছে সিক্যুয়েল। গ্যাংস্টার আশুর চরিত্রে দীপক দোব্রিয়াল এবং অবসরের মুখে পৌঁছে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবলের চরিত্রে সঞ্জয় মিশ্র কিছুটা হলেও ছবির মুড ধরে রেখেছেন। ভোলার স্ত্রীর চরিত্রে অমলা পালের শুধু কয়েক ঝলকেরই উপস্থিতি।
ছবিটিতে অবশ্য মূল ছবির থেকে ভোলার চিত্রনাট্যের কিছু রদবদল করা হয়েছে। অ্যাকশন এবং জাঁকজমকের তুলনায় ‘ভোলা’ অনেকটাই এগিয়ে। কিন্তু বাদ সেধেছে ছবির চিত্রনাট্য। অ্যাকশনে যেন চাপা পড়ে গেল ছবির মূল আবেগ। কখনও ত্রিশূল হাঁকিয়ে, কখনও বাইকে সওয়ার হয়ে এমনকি, মেশিনগান হাতে শয়ে শয়ে শত্রুকে নিকেশ করেছেন অজয়। বার বার মৃত্যুকে জয় করে মৃত্যুঞ্জয় হয়ে তিনি ফিরে আসেন। বলতে গেলে, এই ধরনের ছবির ক্ষেত্রে যুক্তি অর্থহীন। উল্লেখ্য, অজয় দেবগনের ভক্তদের জন্য এই ছবি সানন্দে উপভোগ্য।