নিজস্ব প্রতিবেদনঃ শুক্রবার দুপুর ২টো বেজে ৩০ মিনিটে সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলপ্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা। বিকেল ৪টে থেকে রেজাল্ট কিংবা ব়্যাঙ্ক কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।
পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের ওয়েবসাই www.wbjeeb.nic.in এবং www.wbjeeb.in থেকে রেজাল্ট ডাউনলোড করা যাবে।সেখানে প্রাপ্ত নম্বর, GMR, PMR জানতে পারবেন পড়ুয়ারা। অন্যবারের মতো এবারও তিনটি ধাপে হবে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া। প্রথমে অ্যালটমেন্ট, তারপর আপগ্রেডেশন এবং সবশেষে মপ আপ রাউন্ড। কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়া আরও সরল করতে একটি পুস্তক প্রকাশ করা হবে বলেও এদিন ঘোষণা করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা।
এবারের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা হয়েছিল গত ৩০ এপ্রিল। ২৬ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল ফল। মোট নথিভুক্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৯১৯। যা গতবারের থেকে বেশি। AICTE অর্থাৎ কাউন্সেলিং অফ আর্কিটেকচার এবং ফার্মাসি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বিভিন্ন কলেজকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে। রাজ্যে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসন সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার।
এবারের রাজ্য জয়েন্টে প্রথম হয়েছেন মহম্মদ সাহিল আখতার। তিনি ডিপিএস রুবি পার্ক স্কুলের পড়ুয়া। দ্বিতীয় হয়েছেন ওই স্কুলেরই সোহম দাস। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সারা মুখোপাধ্যায়। বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সারা। চতুর্থ হয়েছেন সৌহার্দ্য দণ্ডপাত। মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন দুর্গাপুর হেমশিলা মডেল স্কুলের ছাত্র অয়ন গোস্বামী। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন সোদপুর নারায়না স্কুলের অরিত্র আম্বুদ দত্ত। সপ্তম স্থান অধিকার করেছেন কোটা রাজস্থানের মা ভারতী সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের কিন্তন সাহা। অষ্টম হয়েছেম সাগ্নিক নন্দী। বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্রী। নবম স্থানে রয়েছেন রাজস্থানের দিশা ডেলফি পাবলিক স্কুলের ছাত্র রক্তিম কুণ্ডু। জয়েন্টে দশম শ্রীরাজ চন্দ্র। কাটোয়াক হোলি এঞ্জেল স্কুলের ছাত্র।
জয়েন্টে সফল পড়ুয়াদের মধ্যে এ বছর ৫১ হাজার ৩৪৫ জন উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের। ISC পরীক্ষার্থী ২ হাজার ১৪২ জন। CBSE পরীক্ষার্থী ২৮ হাজার ২৭ জন। বাকি বোর্ড থেকে জয়েন্ট দিয়েছিলেন ১৫ হাজার ৩৯২ জন ।