নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘৬ প্রশ্নভুল’ মামলায় ত্রুটি শোধরাবে বোর্ডই । অর্থাৎ ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট মামলায় নম্বর দেওয়া এবং প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি থেকে গিয়েছে বলে আদালতে স্বীকার করে নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। অভিযোগ সেল খুলে ত্রুটি শোধরানোর জন্য হাইকোর্টে প্রস্তাব দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নের ত্রুটি জানাতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা বোর্ডের অনলাইন পোর্টালে জানানো যাবে ত্রুটি। ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে হবে ত্রুটি।
পর্ষদের এই আশ্বাসের ফলেই মামলার নিষ্পত্তি হল। এবং ৭৮০ টি শূন্যপদ ঘিরে যে জটিলতা দেখা গিয়েছিল, সেটা অনেকাংশেই কাটানো সম্ভব হবে। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, ত্রুটি শোধরাতে যথাযথ পদক্ষেপ করবে বোর্ড। ৭৩৮ পরীক্ষার্থীর নির্ঘন্ট মেনেই হবে ইন্টারভিউ। আর বোর্ডের এই আশ্বাসে মামলার নিষ্পত্তি করে দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
আদালত অবশ্য নির্দেশ দিয়েছে, মামলাকারীদের তিন দিনের মধ্যে ইন্টারভিউ নিতেই হবে। নির্দেশের পরই বোর্ডের আইনজীবী জানিয়ে দেন, মামলকারীদের তিন দিনের মধ্যে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হবে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা পর্ষদকে নির্দেশ দেন, নিয়োগ নিয়ে যাঁদের যা অভিযোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে যে সব অভিযোগ জমা পড়বে, তা খতিয়ে দেখে সেইমতো ব্যবস্থা নিতে হবে। তাতে রাজি হয় পর্ষদ। ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল সেই প্রশ্নপত্রে ভূল ছিল বলে বিতর্ক তৈরি হয়।
অনেকেই তাতে পাশ করতে পারেননি। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন একাধিক টেট পরীক্ষার্থী। হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। এরপর প্রশ্নগুলি ভুল ছিল কিনা তা জানতে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। এবং সেই কমিটির অধ্যাপকরা ৬টি প্রশ্নকেই ত্রুটিপূর্ণ বলে মত দিয়েছিলেন।