নিজস্ব প্রতিবেদনঃ শাসকদলের বিধায়কের পর এবার বিরোধী দলের সাংসদ। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে তীব্র আক্রমণ আধীর চৌধুরীর। তিনি বলেন, “সমস্ত হাসপাতালগুলিকে গিলে খেয়েছে দালালরাজ। লুটে খাওয়ার জন্য রোগী কল্যান সমিতির মাথার উপর বসানো হয়েছে তৃণমূল নেতাদের”। মদন মিত্রের পর স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে সুর চড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। পাশাপাশি সোমবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে অধীর চৌধুরী বলেন, “বাজি তৈরির নামে বাজি কারখানাগুলিকে তৃণমূল কংগ্রেস বোমা তৈরির কারখানায় রূপান্তরিত করেছে।
ওই বোমাই একদিন বাংলাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে। বোমার স্তুপের ওপর বসে আছে রাজ্য”। এসএসকেএমের স্বাস্থ্য পরিষেবা মদন মিত্রের বিস্ফ্যরক মন্তব্যে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। যদিও ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে নিজেকে ‘সেফ পজিশনে’ নিয়ে আসার কৌশল অবলম্বন করেছেন মদন মিত্র।
যদিও মদন মিত্রের সুরে সুর মিলিয়ে এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে মুখ খুললেন অধীর চৌধুরী। এদিন তিনি বলেন, “গ্রামীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। চিকিৎসা করাতে এলেই শহরে রেফার করা হচ্ছে। সেখানেও একই অবস্থা। এরপর সেই সব রোগী পাঠানো হচ্ছে পিজিতে।
সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিই এখন দালালদের দখলে। দালালরাজ গিলে খেয়েছে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি। মানুষকে বাধ্য হয়ে বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির উপর ভরসা করতে হচ্ছে। সরকারি পৃষ্টপোষকতায় বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিও লুট করছে শাসকদলের লোক”। অধীরবাবু আরও বলেন, “স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির মাথার উপর রোগী কল্যান সমিতিতে বসানো হয়েছে তৃণমূল নেতাদের।
তৃণমূল নেতারা নিজেদের মতো করে চালাচ্ছে হাসপাতালগুলি। এতে কার লাভ হচ্ছে! রোগী বা রোগীর পরিবারের কোনও কাজ হচ্ছে না, লাভ হচ্ছে না। উলটে পকেট ভর্তি হচ্ছে নেতাদের”। পাশাপাশি এগরার পর মহেশতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যুতে রাজ্য সরকারের দিকেই আঙুল তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অধীরবাবু বলেন, “এত বারুদ কোথা থেকে আসছে? কিসের প্রয়োজনে আসছে? দু একটি উৎসব অনুষ্ঠানে এত বাজি লাগে না। তাহলে এত বারুদে কি হচ্ছে? আসলে বাজি কারখামার নাম করে তৃণমূল বোমা কারখানা তৈরি করে রেখেছে।