31 C
Kolkata

উড়ালপুল ভাঙতে আশেপাশের বাড়ির কোনও ক্ষতি হবে না , আশ্বাস ফিরহাদের

নিজস্ব সংবাদদাতা : ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ। আচমকাই দুপুরে ভেঙে পড় পোস্তা উড়ালপুল। মৃত্যু হয় ২৮ জনের। দাবি ওঠে গোটা উড়ালপুলটি ভেঙে ফেলার। পোস্তা উড়ালপুলের ভবিষ্যত্‍ ঠিক করতে মুখ্যসচিবকে মাথায় রেখে কমিটি গঠন করা হয়।

খড়্গপুর আইআইটির রিপোর্ট অস্পষ্ট থাকায়, টালা ব্রিজের ভাগ্য যিনি নির্ধারণ করেছিলেন, সেই সেতু বিশেষজ্ঞ ভিকে রায়নাকে দায়িত্ব দেয় সরকার। তাঁর পরামর্শে উড়ালপুল ভাঙা হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম পোস্তা ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্তের কথা জানান। এর ফলে কোনও দোকান কিংবা রাস্তার পরিবর্তন হবে না।

একটি লেনের পরিবর্তন হতে পারে বলে আপাতত মনে করা হচ্ছে। ৪টি ধাপে আগামী ১৫ জুন থেকে পোস্তা উড়ালপুল বা বিবেকানন্দ ফ্লাইওভার ভাঙার কাজ শুরু হবে। পুরসভা সূত্রে খবর, প্রথম রাজাকাটরার সামনে থেকে পোস্তা মার্কেট পর্যন্ত অংশ ভাঙা হবে।

আরও পড়ুন:  Cooking tips: একঘেঁয়ে জলখাবার ছেড়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন চাইনিজ সুই মাই !

কাজ চলবে ৪৫ দিন ধরে। ফলে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ রাখতে হবে। এর জন্য ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিসকে একটি বিকল্প রুট বানানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে পুরসভার তরফে।কাজটা হবে রাইটস-এর তত্ত্ববধানে। সঙ্গে থাকছে কেএমডিএ ও আরও কয়েকটি সংস্থা।

এ ব্যাপারে পোস্তা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, পোস্তায় ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলি ডাকা হয়েছিল। তারা এতে সম্মতি দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, উড়ালপুল আরও আগে ভেঙে ফেলা ঠিক ছিল। যদিও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দোটানায় ছিল সরকার।

পাছে ভাঙতে গিয়ে ফের বিপদ আসে। ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছেন, সতর্কতার সঙ্গে কাজ করা হবে। আশেপাশের বাড়ির যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ভাঙা হবে।

Featured article

%d bloggers like this: