নিজস্ব সংবাদদাতা : দিনকয়েক আগে বঙ্গের তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নিচে নামলেও গত দু’দিন পারদ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। বেলা বাড়তেই হাঁসফাঁস দশা হয়েছিল বঙ্গবাসীর। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, চলতি সপ্তাহে ১৫-১৬ ডিগ্রির মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে তাপমাত্রা।
কিন্তু বুধবার একধাক্কায় ২ ডিগ্রি নেমেছে পারদ। কলকাতায় এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.১ ডিগ্রি। জানুয়ারির শেষে এই তাপমাত্রাটি এখন স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। শহরের উপকণ্ঠের ব্যারাকপুরে এ দিন পারদ ছিল ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দমদমে ১২.৭ ডিগ্রি।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শীতের দাপট বেড়েছে। শান্তিনিকেতনে এ দিন তাপমাত্রা ছিল ১০.২ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে তাপমাত্রা ছিল ১০.৬ ডিগ্রি, বাঁকুড়ায় ১১.৬ ডিগ্রি। উপকূলবর্তী অঞ্চলের মধ্যে এ দিন দিঘায় তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি, ক্যানিংয়ে ১৩.৬ ডিগ্রি।
এ দিকে উত্তরবঙ্গের শীতের দাপট বেড়েছে। দার্জিলিংয়ে এ দিন মরশুমের শীতলতম দিন রেকর্ড করা হয় (২.৮ ডিগ্রি)। কালিম্পংয়ে তাপমাত্রা ছিল ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তররের সমতলেও তাপমাত্রা ছিল ১০-এর নীচে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এদিন ভোরের দিকে জাঁকিয়ে শীতের আমেজ অনুভূত হলেও বেলা বাড়তেই বদলাবে পরিস্থিতি।
জেলাগুলিতে শীত দাপট দেখাবে আরও কয়েকদিন। কুয়াশার চাদরে মুড়বে গোটা বঙ্গ। উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ঘন কুয়াশার সর্তকতা জারি। কুয়াশা দাপট দেখাবে দক্ষিণবঙ্গেও। উত্তরবঙ্গের মালদহ উত্তর, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ঘন কুয়াশা থাকবে বলেই জানা গিয়েছে।
দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের কাছাকাছি থাকবে। কোথাও তা ৫০ মিটারে নেমে যেতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমানে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা। শীতের যাওয়া-আসার মাঝেই শুক্রবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের ঝাড়খণ্ড লাগোয়া জেলাগুলিতে।
নতুন করে বঙ্গে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করবে ফেব্রুয়ারিতে। তার আগে সম্ভাবনা রয়েছে শৈতপ্রবাহের।