নিজস্ব সংবাদদাতা : এ বারের ভোটে বারবার মহারাজের নাম উঠে এসেছিল। এই কৌতূহল ছিল যে সৌরভ গাঙ্গুলি কি বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন! শেষমেশ তা হয়নি। উল্টে ভোটের আগে সৌরভের মৃদু হার্ট অ্যাটাক হয়। তাঁর হৃদপিন্ডে স্টেন্ট বসাতে হয়।
তার পর বাড়িতেই বেশ কিছুদিন বিশ্রামে থাকেন সৌরভ। রাজনীতিতে সকলের সঙ্গেই সদ্ভাব এবং সমদূরত্ব বজায় রেখে চলেছেন সৌরভ। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য রাজভবন তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের তরফে আমন্ত্রনপত্র গিয়েছিল সৌরভ গাঙ্গুলির কাছে।
নিয়ম হল, মুখ্যমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের তরফে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই সঙ্গে যিনি শপথ নিচ্ছেন তিনি বা তাঁর দল কিছু অতিথিকে নিমন্ত্রণ করতে পারেন। তবে সেই নিমন্ত্রণ পত্রও যায় রাজ্যপালের তরফ থেকে।
সূত্রের খবর, সৌরভকে রাজ্যপাল নিমন্ত্রণ করেছিলেন। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য শাসক দলের তরফে কোনও অনুরোধ করা হয়নি রাজভবনকে। অনেকের মতে, সেই কারণেই হয়তো সৌরভ এদিনের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে বিতর্ক এড়াতে চেয়েছেন।
বামফ্রন্ট জমানায় ও তার পরেও সিপিএমের অনেকের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেছেন দাদা। আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর সখ্য ছিল। অনেকের মতে, সৌরভ এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও পরের কোনওদিনে নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন।