নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শুক্রবার বিকেলে রাজভবনেই হয়েছে এই সাক্ষাত্। প্রশ্ন উঠেছে এই বৈঠকের তাত্পর্য নিয়ে। এই বিষয়ে কিছুই বলেননি বৈশাখী।
রাজভবনে আসার আগে তিনি জানান ,”আমি মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যক্ষ ছিলাম। সেই কলেজের দীর্ঘ দিন ধরে অচলাবস্থা। আমি জুন মাসে পদত্যাগ করেছি। তবুও সেই অচলাবস্থার দায় চাপানো হচ্ছে আমার ওপর। কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ। আর রাজ্যপাল পদাধিকার বলে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। সেই কারণে গোটা বিষয়টি তাঁর জানা প্রয়োজন ।”
বৈশাখীর অভিযোগ, ফিরহাদ হাকিম তাঁকে কলেজ থেকে উত্খাতের হুমকি দিয়েছেন। পদ ছেড়ে দেবার পরও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কলেজের সামনে আন্দোলন করা হচ্ছে, পোস্টারে তাঁর নাম রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বৈশাখী। দীর্ঘদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শোভন ও বৈশাখী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের দলের কাজে সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। এরইমধ্যে আল আমিন কলেজের বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন বৈশাখী ও শোভন।
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর শোভন বলেছেন, ‘আল আমিন কলেজ থেকে বৈশাখীকে উপড়ে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কলেজ কারও অ্যাজেন্ডা পূরণের জায়গা নয়।সরকারের আত্মসমালোচনা করা উচিত। রাজ্যপাল সহানুভূতির সঙ্গে গোটা বিষয়টি শুনেছেন। শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন বলেছেন, ‘ছোটবেলা থেকেই শুভেন্দুকে চিনি, শিশিরদাকে জানি। শুভেন্দু তাঁর মত নিজেই জানাবেন।প্রত্যেক রাজনৈতিক নেতার নিজের সম্মান রয়েছে। শুভেন্দু একজন পরীক্ষিত সৈনিক।’