নিজস্ব সংবাদদাতা : ১০টি বাম ছাত্র যুব সংগঠনের কর্মীদের নবান্ন অভিযান ঘিরে বৃহস্পতিবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠল ধর্মতলা চত্বর। এদিন সকাল থেকেই কলেজ স্ট্রিটে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার বাম কর্মী সমর্থক। শিক্ষা এবং চাকরির দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল।
সেইমতো মিছিল এগোতে থাকে ধর্মতলার দিকে। কিন্তু ডোরিনা ক্রসিংয়ে পুলিশ বাঁশ এবং স্টিলের ব্যারিকেড করে আটকায় মিছিলকারীদের। মিছিল এগোতে গেলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। এরপর পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে।
এক মহিলা বামকর্মীর কথায়, ‘বিনা প্ররোচনায় পুলিশ লাঠি চালিয়েছে। সেখানে কোনো মহিলা পুলিশ ছিলেন না । জলকামান চালিয়েছে পুলিশ , আমরা তাতেও পিছু হটিনি। এরপর লাঠিচার্জ করে আমাদের ওপর। আমাদের দলের ৩০ জন কর্মী আহত হয়েছে।
একজনের পা ভেঙেছে, অনেকের মাথা ফেটেছে। সবমিলিয়ে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ‘ বাম কর্মীদের কথায়, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশ এভাবে নির্মম অত্যাচার চালাল। পুলিশ বর্বর আক্রমণ করেছে। মমতা বন্দোপাধ্যায় যতক্ষণ না ক্ষমা চাইবে তাঁরা এই অবরোধ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ।
এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিমকে নামতে হয় পরিস্থিতি সামলাতে। তখন ধর্মতলা চত্বর জলে ভাসছে। দীর্ঘক্ষণ জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। কিন্তু তাতেও আন্দোলনকারীদের দমানো যায়নি। দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁরা মাটিতে বসে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন।
অশান্তির জেরে বহু বাম কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। যদিও পুলিশ লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশের অভিযোগ মিছিলকারীরা তাদের দিকে বড় বড় পাথর ছুড়েছে। কিন্তু মিছিলকারীদের অভিযোগ, এসব মিথ্যা অভিযোগ।