ভোজন রসিক বাঙালির শেষ পাতে মিষ্টি না হলে ঠিক জমে না। সে রসগোল্লা,পান্তুয়া হোক বা সন্দেশ খাদ্য তালিকায় মিষ্টি থাকা অনিবার্য। এতো গেলো ছানার মিষ্টি, কিন্তু ছানা ছাড়া এই বাঙালি মিষ্টি খেলে জিভে জল আসবে আপনারও।
বাংলার মিষ্টির কথা হচ্ছে আর মেচা সন্দেশের কথা উঠবে না, এমনটা হতে পারেনা। খানিক টা পান্তুয়ার মতো দেখতে হলেও স্বাদে একেবারে ভিন্ন এই মিষ্টি। শোনা যায় গ্রামবাংলার পুজো-পার্বণ দিয়েই শুরু এই সন্দেশের ইতিহাস। মিষ্টির স্রষ্টা শ্রী গিরিশ চন্দ্র দাস মোদক প্রায় ২০০ বছর আগে এই মিষ্টি তৈরী করেছিলেন। শোনা যায় তিনি গজন উপলক্ষ্যে তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার সবচেয়ে বিখ্যাত মিষ্টি হল মেচা সন্দেশ।
শোনা যায়,একবার বাবার উৎসবেই বেসিনের লাড্ডু বর্ষাকালে ডেলা পাকিয়ে যায় তখন নতুন নিয়মে, ঢেঁকিতে সেই লাড্ডু গুঁড়ো করে পুনরায় হাতে গোল আকৃতি দিয়ে শালপাতার ওপর রাখা হয়। তবে শালপাতায় রাখার নিয়ম টা একটু অবাক হওয়ার মতো। শাল পাতায় রাখার কারণে এই মিষ্টি শাল পাতার যে সুন্দর গন্ধ সেটা শুষে নেয় এবং স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় হয়ে ওঠে।
বাংলার এই মিষ্টি কলকাতা ও দেশের গন্ডি পেরিয়ে সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেও অনেকে প্রশংসা পেয়েছে।ছানা ছাড়া বাঙালি মিষ্টি একবার খেলে সেই স্বাদ ভুলতে পারবেনা আপনিও।