নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যের পুরমন্ত্রীকে তাঁর ‘বিতর্কিত মন্তব্য’র জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বললেন বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়ের আইনজীবী। না হলে ফিরহাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হবে বলেও আইনি নোটিসে লেখা হয়েছে। একইসঙ্গে কলকাতা পুরসভার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি আমিরুদ্দিন ববিকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে।
ওই নোটিসে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। মিল্লি আল-আমিন কলেজ ফর গার্লস ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরজা বহুদিনের। তখনও তিনি বিজেপিতে যোগদান করেননি। সেই সময় থেকে এই কলেজে তাঁর ভূমিকা নিয়ে সরগরম ‘শিক্ষা রাজনীতি’। এরপর বিজেপিতে পাকাপাকিভাবে বৈশাখী যোগ দেওয়ায় সেই তরজা-আগুনে ঘি পড়ে।
বৈশাখীর দাবি, চলতি বছরের জুন মাসে তিনি এই কলেজের টিচার ইনচার্জের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরে চিঠি পাঠালেও কোনও উত্তর পাননি। কয়েকদিন আগে কলেজের সামনে একটি বিক্ষোভ হয়। বৈশাখীর অভিযোগ, তাতে অংশ নিয়েছিলেন স্থানীয় কিছু লোকজন এবং কলেজ ছাত্রীদের একাংশ। রীতিমত প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, কলেজে এখনও কোনও পরীক্ষা হয়নি। চরম অব্যবস্থা চলছে। এবং সবকিছুর জন্য বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ হাকিম কারও নাম না করেই বলেছিলেন, “মিল্লি আল-আমিন কলেজের টিচার ইনচার্জকে উপড়ে ফেলে দেওয়া উচিত্।”
ফিরহাদ কার উদ্দেশে একথা বলেছেন তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিলো। বৈশাখীর কথায়, “সম্মান নিয়ে বাঁচাটা মৌলিক অধিকার। সেই সম্মানটাই নষ্ট হয়েছে। উনি যে কথা বলেছেন তা ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটা শুধু কলেজের চৌহদ্দিতে আটকে নেই। আমার মর্যাদাটা নষ্ট করেছে। একজন দায়িত্ববান জনপ্রতিনিধির ভাষা কতটা সংসদীয়, সেটাও বুঝতে চাই। সেই কারণেই নোটিস পাঠিয়েছি। ক্ষমা চাওয়ার সময়সীমা পার হলে আদালতে যাব।”