অরিজিৎ ব্যানার্জি: আড়াই বছর পর আবার জুড়ে গেল পাইকপাড়া থেকে শ্যামবাজার। খুলে গেল টালা ব্রিজ। ডানলপের দিক থেকে দক্ষিনে আগত বা শ্যামবাজার থেকে উত্তর দিকে যাবার জন্য বি টি রোডের ওপর অবস্থিত এই ব্রিজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২০২০ ফেব্রুয়ারি থেকে জীর্ণ অবস্থায় থাকা ব্রিজটি মেরামতির জন্য বন্ধ করা হয় তারপরেই শুরু হয়ে যায় লকডাউন সকল বাধা বিপত্তি কাটিয়ে ২০২২ এর বাইশে সেপ্টেম্বর খুলে গেল এই ব্রিজ আড়াই বছরের রেকর্ডর টাইমে তৈরি হয়ে গেল নতুন করে চার লেনের এই সেতুটি।
পুরনো ব্রিজটি ছিল দুটি লেনের, সে ক্ষেত্রে চার লেন হওয়াতে ব্রিজের উপর ট্রাফিকের ঘনত্ব যে কমবে, তা বলাই বাহুল্য। তার সঙ্গে রয়েছে মানানসই রঙিন এলইডি ল্যাম্প যা আলোকিত করে রেখেছে ব্রিজটিকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্রিজ উদ্বোধন করেন। তিনি জানান এই সেতু নির্মাণের ৪৫০কোটি টাকার অধিক অর্থ পুরোটাই দিয়েছে রাজ্য সরকার।

তিনি জানান সেতুটি নির্মাণ হওয়াতে স্থানীয়দের অনেকটাই কষ্ট লাঘব হয়েছে। তবু তাদের মধ্যে কিছু ক্ষোভ আছে, যেমন সার্ভিস লেন, রাস্তা পারাপারের জন্য কাটআউট, বাস স্টপ, ইত্যাদি মঞ্চ থেকেই তিনি বলেন যে সবকিছুরই ব্যবস্থা করবেন ধীরে ধীরে।
উদ্বোধন হওয়ার সাথে সাথে সেতুরিয়ে জনতার ঢল নেমে পড়ে এ যেন এক মেলা কেউ বলে ওঠেন তাদের আর শ্যামবাজারে কেনাকাটা করতে আসার অসুবিধে রইল না কেউ খুশি যে এমার্জেন্সি কেসে আর জি কর যাবার জন্য ঘুরপথে যেতে হবে না।

সেতুর ওপর দেখা হল দুই বিখ্যাত পূজা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে এক দিকে টালা বারোয়ারি অপরদিকে বাগবাজার সার্বজনীন । টালা বারোয়ারি এ বছর পুজোর ১০২ বছর পালন করছে। তবে দু বছর লকডাউন এবং অসমাপ্ত সেতুর জন্য সেভাবে দর্শক পৌঁছতে পারেনি মন্ডপে। এ বছরে যেন আবার করে শতবর্ষ পালন করবে তারা। বাগবাজার সার্বজনীন এর সদস্য জয়ধ্বনি দিয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রেকর্ড সময় পুজোর ঠিক আগে উত্তর কলকাতার মানুষকে এই ব্রিজটি উপহার দেবার জন্য তিনি খুবই খুশি। এই সেতু যেন দুটি পূজা কমিটির মেলবন্ধনের এক কাহিনী গড়ে তুলল।