নিজস্ব সংবাদদাতা : অবশেষে সোমবার দুপুরে সেই জল্পনাই সত্যি হল। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ছিন্ন করলেন শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, ই-মেইল মারফত তাঁরা এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষকে। উল্লেখ্য, অনেক ঘটা করে গত আইএসএলে খেলার জন্য ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের স্পনসর হিসেবে আনা হয়েছিল শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষকে। একবছর পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই খুশির সংসারে লাগল আগুন।
শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষের পাঠানো চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে ক্লাবকর্তাদের স্বাক্ষর না করা নিয়েই তাদের এই বিচ্ছেদ। ক্লাবকর্তাদের দাবি, সেই চুক্তিপত্রে এমন কিছু শর্ত শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে তা মানা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। বিশেষ করে যেখানে জড়িয়ে আছে লক্ষ লক্ষ সমর্থকদের আবেগ ও ভালোবাসা। এরপর আলোচনার পর আলোচনা হয়েছে। কিন্তু জল দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই তিমিরেই।
এদিকে ক্লাবের এই সমস্যা মেটাতে শেষ পর্যন্ত আসরে নেমেছিলেন প্রাক্তন ফুটবলাররাও। তাঁরা কথা বলেন দুই পক্ষের সঙ্গেই। তারপর গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ক্লাবে পৌঁছে যায় শ্রী সিমেন্টের সংশোধিত নতুন চুক্তিপত্র। এবং তাঁদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এটাই তাঁদের পাঠানো শেষ সংশোধিত চুক্তিপত্র। এরপর তাঁরা আর চুক্তিপত্রে আর কোনোভাবেই পরিবর্তন করতে পারবেন না। কিন্তু তাতেও বাধ সাধলেন কর্তারা। তাঁরা গত শুক্রবার কর্ম সমিতির বৈঠক করে জানিয়ে দেন, শ্রী সিমেন্টের পাঠানো শেষ চুক্তিপত্রেও তাঁরা স্বাক্ষর করবেন না।
কর্তাদের এই সিদ্ধান্তের পর সোমবার দুপুরে শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। ক্লাবের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাদের স্পোর্টিং রাইটসও। এই বিষয়ে জানতে চেয়ে শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি শিবাজী পাঁজার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা যা বলার ক্লাবকে ই-মেইলে মারফত জানিয়ে দিয়েছি। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের এই বিচ্ছেদের পরেই চলতি আইএসএলের আসরে কি দেখা যাবে শতাব্দী প্রাচীন এই ক্লাবকে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর আনতে কানাচে।