নিজস্ব সংবাদদাতা : তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কেডি সিংকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের মতে, গত কয়েক দিনে কয়েক দফায় ইডি দফতরে ডেকে জেরা করা হয়েছে তাঁকে। আজ সকালেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। তার পরই তাঁকে আটক করে ইডি। ইডি সূত্রের মতে, চিটফান্ড ব্যবসার মাধ্যমে কেডি যেমন হাজার হাজার মানুষকে ঠকিয়েছে, তেমনই বেআইনি আর্থিক লেনদেনের ঘটনাতেও তাঁর যোগ পাওয়া গিয়েছে।
অতীতে নারদ কাণ্ডের সময়েও কে়ডির নাম বারবার উঠেছিল। নারদ স্টিং অপারেশন চালিয়েছিলেন ম্যাথু স্যামুয়েল। ম্যাথু এক সময়ে দাবি করেছিলেন, স্টিং অপারেশনের জন্য তাঁকে টাকা দিয়েছিলেন কেডি সিং। তখন তহেলকার সাংবাদিক ছিলেন ম্যাথু। আর তহেলকার মালিকানা ছিল কেডির কাছে। ইডি সূত্রে খবর, ২৩৯ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের কর্ণধার কে ডি সিংয়ের বিরুদ্ধে।তাঁকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে ইডি।
সূত্রের খবর, ১৫০ কোটি টাকার কোনও সন্ধান দিতে পারেননি তৃণমূলের এই প্রভাবশালী প্রাক্তন সাংসদ। ইডির অনুমান, ওই টাকা বিদেশে পাঠিয়ে থাকতে পারেন কেডি সিং। বস্তুত এই সব বিষয় ফাঁস হওয়ার পর থেকেই ঘটনাচক্রে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভায় তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও পুনর্বার মনোনীত করেনি দল। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে কে ডি সিং ও তাঁর ফার্মের (এমএস অ্যালকেমিস্ট ইনফ্রা রিয়েলটি লিমিটেড) বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত শুরু করে।
পিএমএলএর অধীনে একটি কোম্পানি -এর পরিচালক এবং অন্যদের বিরুদ্ধে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই তদন্ত শুরু করে তদন্ত সংস্থাটি। তদন্তে জানা গেছে যে, অ্যালকেমিস্ট ইনফ্রা রিয়েলটি লিমিটেড কোম্পানির ওয়েবের মাধ্যমে অর্থ তছরুপ করেছিল। আরও দেখা গেছে যে বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংস্থাটি অর্থ সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে এই টাকা তোলা হয়েছিল তা কখনই সেই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়নি। বরং ওই টাকা ওই সংস্থারই অন্যান্য ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলিতে স্থানান্তরিত করা হয় ।